Local Kalijira Oil/দেশি কালোজিরার তেল 500ml
কালোজিরা তেল : কালোজিরার পাশাপাশি এর তৈরি তেলও বিশেষ উপকারী।
কালোজিরাতে আছে ফসফেট,লৌহ ও ফসফরাস। এছাড়াও রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক কেরটিন, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক।
কালোজিরাতে প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদান আছে। কালোজিরা খাদ্যাভাসের ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা ফুলের মধু উৎকৃষ্ট মধু হিসেবে বিশ্বব্যাপী বিবেচিত, কালোজিরার তেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বর্তমানে কালিজিরা ক্যাপসুলও বাজারে পাওয়া যায়।
কৃষকের মাঠ থেকে উৎপাদিত কালোজিরা সংগ্রহের পর, সেগুলো থেকে বিশুদ্ধ ও শুকনো বীজ বাছাই করা হয়। দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য এ প্রক্রিয়া শেষে নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে, মেশিনে ভাঙানো হয় দানাদার বীজ। আর সেখান থেকে তেল সংগ্রহ করে, বোতলজাত করে আপনার হাতে পৌঁছায় ঘরের বাজার-এর খাঁটি কালোজিরার তেল।
কালিজিরা তেলে আছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। গবেষণা বলছে, রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করতে পারে এই তেল; অ্যাজমা ও ডায়াবেটিস রোগীরাও উপকার পেতে পারেন; ওজন কমাতে ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতেও এই তেল সহায়তা করে। অন্যদিকে সৌন্দর্যচর্চায় দারুণ উপকারী এই তেল।
যেভাবে কালোজিরার তেল খেতে পারেন:
- এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা–চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।ৎ
- মধু কিংবা তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মিশিয়েও কালিজিরার তেল খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ১ চা–চামচ কালিজিরার তেলের সঙ্গে মধু কিংবা তুলসী পাতার রস নেবেন ৪ চা–চামচ।
- কমলার রস কিংবা পুদিনা পাতার রসের সঙ্গেও কালিজিরার তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও কমলার রস বা পুদিনা পাতার রস নিতে হবে ৩ চা–চামচ আর কালিজিরার তেল ১ চা–চামচ।
- রান্নায় ফোড়ন দেওয়ার পরিবর্তে পদটি চুলা থেকে নামানোর আগে কালিজিরা তেল দিয়ে নিতে পারেন।
- সেদ্ধ খাবার চুলা থেকে নামানোর আগেও কালিজিরা তেল যোগ করতে পারেন।
- নানা রকম ভর্তা ও সালাদ বানাতে কিংবা মুড়ি মাখাতে শর্ষের তেল বা অন্যান্য তেলের বিকল্প হিসেবে কালিজিরা তেল কাজে লাগাতে পারেন।ৎ
কালোজিরার তেলের বিশেষত্ব:
- কালোজিরার তেলের উপকার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- হৃদরোগজনিত সমস্যার আশঙ্কা কমায়।
- পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- জয়েন্টের ব্যথা কমায়।
- দাঁত মজবুত করে।
- ত্বকের সুস্বাস্থ্য, আর্থাইটিস ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে কালিজিরার তেল উপযোগী।
সতর্কতা:
- কালোজিরার তেল গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা যাবে না।
- গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালিজিরার তেল সেবন করানো উচিত নয়।
- নকল বা কৃত্রিম কালিজিরার তেল কখনও খাওয়া ঠিক না।
- জেনে শুনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে কালিজিরা বা কালিজিরার তেল সরাসরি বা প্রক্রিয়াজাত করে খেতে হবে।
- পুরনো কালিজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।